Friday, 3 July 2020

হংসেশ্বরী মন্দির ও তার ইতিহাস


“বহু দিন ধরে, বহু ক্রোশ দূরে

বহু ব্যায় করি, বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশির বিন্দু।“
কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিমি দুরত্বে হুগলী জেলার অন্যতম শহর, বাঁশবেড়িয়া। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে ব্যান্ডেল থেকে ৪ কিমি দুরত্বে বাঁশবেড়িয়া স্টেশন। প্রাচীন বাংলায় এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী। এই শহর বিখ্যাত হংসেশ্বরী মন্দিরের জন্য। এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা বা এর ইতিহাস জানতে গেলে আমাদের যেতে হবে বর্ধমান জেলার পাটুলি তে। প্রাচীন বাংলার একটি ছোট্ট সুখী গ্রাম ছিল পাটুলি। এই গ্রামের জমিদার ছিলেন জয়ানন্দ রায়। জমিদার জয়ানন্দের পাঁচটি ছেলে ছিল যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন রাঘব রায়। এই রাঘব রায় সম্রাট জাহাঙ্গীরের দাক্ষিন্যে “চৌধুরী” উপাধি লাভ করেন। তিনি অবশ্য এখানেই থেমে থাকেননি। পরবর্তীতে তিনি সম্রাটের থেকে “মজুমদার” উপাধি ও ২১টি পরগনার জমিদারী লাভ করেন।
এই শুরু হল রায় পরিবারের জয়যাত্রা। বৃহস্পতি তখন সপ্তমে। সেই সময় ওই অঞ্চলে বর্ধিষ্ণু পরিবার হিসেবে রায় পরিবারের প্রভাব প্রতিপত্তি সন্মান সবই তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু বাঙালি জাতি বলে কথা ,নিজেদের মধ্যে অটুট সম্পর্ক থাকাটা অসম্ভবের নামান্তর। রাঘব রায় এর মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি তার দুই ছেলে রামেস্বর রায় ও বাসুদেব রায়এর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। দুই তৃতীয়াংশ পায় বড় ছেলে রামেস্বর রায় ও বাকিটুকু ছোট ছেলে বাসুদেব রায়। রামেস্বর রায় পাটুলি থেকে বেরিয়ে এসে “বংশবাটী” তে বসবাস শুরু করেন। তিনি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় ৩৬০ টি পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে এই বংশবাটীতে নিজের জমিদারির পত্তন করেন। এই “বংশবাটী” ই বর্তমানে বাঁশবেড়িয়া নামে পরিচিত।
বাবার মত রামেস্বর রায় ও মুঘল সম্রাটের বিশ্বাসভাজন ছিলেন। তিনি লক্ষ্য করেন তার অধীনে বেশ কিছু পরগণার জমিদাররা সঠিক কর দিচ্ছেন না। তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে সঠিক পরিমান কর মুঘল সম্রাটকে পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। তিনি রাজস্ব আদায় ব্যাবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটান ফলে মুঘল রাজকোষে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি কমে যায়। এই ঘটনা সম্রাট অউরংজেব এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ফলস্বরূপ রামেস্বর রাই ১৬৭৩ সালে “রাজা মশাই” উপাধিতে ভূষিত হন। ভাগ্য দেবতা এখানেই থেমে থাকেননি। পরবর্তীতে তিনি নতুন করে আরও ১২ টি পরগনা নিজের প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে পান এবং ১৬০ একর জমি নিজের বসতবাটি তৈরির জন্য মুঘল সম্রাটের থেকে উপহার পান যা ছিল সম্পূর্ণ কর মুক্ত। ক্ষুরধার প্রশাসনিক বুদ্ধি সম্পন্ন ও দয়ালু রামেস্বর রায় শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তিনি তার অঞ্চলে অনেক সংস্কৃত টোল স্থাপন করেন ও সেগুলি সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য তিনি বেনারস থেকে অনেক সংস্কৃত পণ্ডিতদের নিজের কাছে নিয়ে আসেন।
তৎকালীন বাংলার একটি অন্যতম সমস্যা ছিল মারাঠা বর্গীদের আক্রমণ। রামেস্বর রায় প্রায় এক বিঘা জমির ওপরে বাঁশের জঙ্গল কেটে তাতে একটি পরিখা বেষ্টিত দুর্গ নির্মাণ করেন। সেই থেকেই এই অঞ্চল বাঁশবেড়িয়া নামে পরিচিত। তখন অবশ্য এই দুর্গ “গড়বাটী” নামে পরিচিতি পায়। এই দুর্গের প্রতিরক্ষার কাজে তিনি বিশ্বস্ত পাঠান যোদ্ধাদের নিয়োগ করেন। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই বিশ্বস্ত পাঠান যোদ্ধাদের তিনি মুঘল সম্রাটের দাক্ষিন্যে পেয়ে ছিলেন। এই পাঠান যোদ্ধাদের কিছু বংশধরেরা এখনও বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে আছেন।
রামেস্বর রায় ছিলেন নিষ্ঠাবান ধর্মভীরু হিন্দু। তার উপাস্য দেবতা ছিলেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি ১৬৭৯ তে ভগবান বিষ্ণুকে সমর্পিত একটি টেরাকোটা মন্দির নির্মাণ করেন যা বর্তমানে হংসেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন  অনন্ত বাসুদেব মন্দির নামে পরিচিত। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য টেরাকোটা মন্দিরের একটি ধ্রুপদী উদাহরণ হল এই মন্দির। এই মন্দির গাত্রে ব্যসল্ট পাথরে প্রাচীন বাংলায় উৎকীর্ণ লেখা মন্দিরটির সৌন্দর্য বর্ণোজ্জ্বল অতীতকে মনে করিয়ে দেয়।
অনন্ত বাসুদেব মন্দির

অনন্ত বাসুদেব মন্দির
মন্দির গাত্রে টেরাকোটার কাজ

মন্দির গাত্রে টেরাকোটার কাজ

মন্দির গাত্রে টেরাকোটার কাজ

মন্দির গাত্রে টেরাকোটার কাজ
রামেস্বর রায়ের মারা যাবার পর রায় পরিবারের জৌলুস কমতে থাকে এবং রায় পরিবারের ওপর অনেক দুর্যোগ হানা দেয়। রামেস্বর রায়ের নাতি গোবিন্দদেব রায় অকালে মারা যান। তার মৃত্যুতে জমিদারীর অধিনস্ত অনেক অঞ্চল হাতছাড়া হয়ে যায়। তাছাড়া ততদিনে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হয়ে গেছে আর ভারতে ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রমরমা বেশ ভালই বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সময়ের সাথে সাথে রায় পরিবারও ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিল। এর ফল স্বরূপ রায় পরিবার হৃত জমিদারির কিছু অংশ ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিস দয়ায় ফিরে পায়। সেই সময় জমিদার ছিলেন রামেস্বর রায়ের প্রপৌত্র ও গোবিন্দদেব রায়ের পুত্র নৃসিংহদেব রায়।
রাজা নৃসিংহদেব রায়
রাজা নৃসিংহদেব রায় ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত। ১৭৯২ থেকে ১৭৯৯ দীর্ঘ সময় তিনি কাশীতে যোগ ও তন্ত্র শিক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। সেই সময়ে তিনি “উড্ডীশতন্ত্র” নামে একটি গ্রন্থও রচনা করেন। পরবর্তীতে তিনি তার জমিদারির হারানো বাকি অংশ পুনরোদ্ধারের জন্য ইংল্যান্ডে না গিয়ে সেই উদ্দেশ্যে জমানো অর্থ দিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা নেন ও বাঁশবেড়িয়াতে ফিরে আসেন। তার প্রপিতামহের তৈরি টেরাকোটা মন্দিরের ক্ষয় দেখে পাথরের মন্দির নির্মাণের মনস্থ করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি কাশীর কাছে চুনার নামে এক গ্রামে যান ও সেখান থেকে পাথর কিনে নদী পথে সেগুলিকে বাঁশবেড়িয়ায় নিয়ে আসেন। ১৭৯৯ তে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। মন্দিরের দ্বিতীয় তল নির্মাণ হয়ে গেলে ১৮০২ তে সম্পূর্ণ মন্দির দেখার পূর্বেই তিনি মারা যান। ওনার জ্যৈষ্ঠ স্ত্রী ওনার সাথে সহমরণে যান। ওনার দ্বিতীয় স্ত্রী রানী শঙ্করী অসমাপ্ত মন্দির নির্মাণে ব্রতী হন। রাজস্থান থেকে আগত কারিগর দ্বারা প্রায় ১৫ বছরে এই মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। উত্তর রাজস্থানের শেখাওয়াতি স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মন্দিরের নির্মাণে প্রায় ৫লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছিল। যা তদানীন্তন সময়ে টাকার মূল্যে ছিল বিশাল ব্যয়। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বর্ণনায় মন্দিরগাত্রে ব্যসল্ট পাথরের ফলকে সুন্দর বাংলা হরফে লেখা আছেঃ
“ শাকাব্দে রস বহ্নি মৈত্র গণিতে শ্রীমন্দিরং মন্দিরং ।
মোক্ষদ্বার চতুর্দ্দশেশ্বর সমং হংসেশ্বরী রাজিতং ।।
ভূপালেন নৃসিংহদেব কৃতিনারব্ধং তদাজ্ঞানুগা ।
তৎপত্নী গুরুপাদপদ্মনিরতা শ্রীশঙ্করী নির্ম্মমে ।।“    শকাব্দ ১৭৩৬

এর ভাবার্থ হল দেবী হংসেশ্বরী এই মন্দিরে চতুর্দ্দশ মোক্ষদ্বার রূপী মহাদেব এর সাথে বিরাজমান। নৃসিংহদেব ভূপাল এর তত্ত্বাবধানে ১৯৩৬ শকাব্দে এই মন্দির নির্মান সূচিত হয় ও তাঁর আজ্ঞানুগা পত্নী গুরুপাদপদ্মনিরতা শ্রীশঙ্করী এই নির্মান কাজ সমাধা করেন।
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি




সংগৃহীত ছবি
নৃসিংহদেব নিজে তন্ত্রসাধক হবার ফলে তিনি এই মন্দিরটিও নির্মাণ করেন তন্ত্রকথা মাথায় রেখে। ১৩টি মিনার যুক্ত দক্ষিণমুখি পাঁচতলা এই মন্দিরের উচ্চতা ৭০ ফুট। এই ১৩টি মিনারের মধ্যে ৮টি মন্দিরের আট কোনে, মাঝখানে ৪টি ও কেন্দ্রস্থলে একটি বর্তমান।  কেন্দ্রীয় মিনারের ঠিক তলায় একটি প্রকোষ্ঠে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ। প্রতিটি মিনারের চূড়া পদ্মকুঁড়ির আদলে তৈরি। তন্ত্রসাধনার ষট্‌চক্রভেদ তত্ত্ব অনুসারে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল। তান্ত্রিক যোগসাধনা অনুযায়ী মানবদেহে সুষুম্নাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ৫টি মুখ্য নাড়ী বর্তমান, যেগুলি হল ইড়া, পিঙ্গলা, বজ্রাক্ষ, সুষুম্না ও চিত্রিণী। তন্ত্রমতে সুষুম্নাকান্ডে ৬টি চক্র বর্তমান। এদের মধ্যে একেবারে তলদেশে রয়েছে মূলাধার চক্র যার মধ্যে রয়েছে সর্পিল ‘কুলকুণ্ডলিনী’। এই কুলকুণ্ডলিনীর একেবারে উপরে রয়েছেন মহাদেব শিব। তন্ত্র সাধনার এই তত্ত্বকেই মহারাজ নৃসিংহদেব মুন্দিরের স্থাপত্যের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেই আঙ্গিকে মন্দিরের গর্ভগৃহটি হল মূলধার চক্র সেখানে কুলকুণ্ডলিনী রুপে মা হংসেশ্বরী বিরাজিতা। এই গর্ভগৃহের ঠিক উপরেই রয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। গর্ভগৃহের চারপাশে পাঁচটি সিঁড়ি রয়েছে যেগুলি দিয়ে মহাদের এর প্রকোষ্ঠে পৌঁছান যায়। মহাদেব যে প্রকোষ্ঠে রয়েছেন তার চারদিকে রয়েছে এক আশ্চর্য গোলকধাঁধা।
দ্বিতীয় তলে মহাদেব এর প্রকোষ্ঠের সামনে (সংগৃহীত ছবি)



পদ্মকুঁড়ি সদৃশ মিনার চূড়া (সংগৃহীত ছবি)

গর্ভগৃহের ঠিক কেন্দ্রে পঞ্চমুন্ডির আসনের ওপরে রয়েছে সহস্রদল নীলপদ্ম। তার ওপরে রয়েছে অষ্টদল পদ্ম। তার উপরে রয়েছে একটি ত্রিকোণাকার বেদী। এই বেদীর ওপরে শবাসনে রয়েছেন মহাকাল শিব। এই বেদী ও মহাকাল মূর্তি পাথর নির্মিত। মহাকালের হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসা দ্বাদশদল পদ্মের উপর এক পা মুড়ে বসে আছেন দেবী হংসেশ্বরী। নিমকাঠের তৈরি চতুর্ভুজা মূর্তিটি নীল বর্নের। দেবীর উপরের বাম হাতে খড়গ ও নীচের বামহাতে নরমুন্ড রয়েছে। উপরের ডান হাতে বরাভয় মুদ্রা ও নীচের ডান হাতে শঙ্খ মুদ্রা বর্তমান। প্রতি বছর কালীপূজার দিন দেবীর বাৎসরিক পূজা হয়ে থাকে। ওই দিন দেবীর রুপের আমূল পরিবর্তন করা হয়। বছরের বাকি দিন গুলিতে আমরা দেবীর শান্ত মূর্তি দেখলেও কার্তিক অমাবস্যার রাতে দেবীকে রুপার মুখোশ ও সোনার জিভ পরানো হয়। গায়ে থাকে বহুমূল্যের স্বর্নালঙ্কার ও ফুলের মালা। বছরের অন্যান্য দিন দেবী দক্ষিণা কালী রুপে পূজিতা হন ও কালী পূজার দিন দেবী তন্ত্র মতে পূজিতা হন।




কার্ত্তিক অমাবস্যায় মায়ের মুখশ্রী (সংগৃহীত ছবি)
মন্দির সংলগ্ন রাজা নৃসিংহদেবের রাজবাড়ি এখনও বিরাজমান। যদিও তার জৌলুস বহু অংশে কমে গেছে। প্রধান রাজবাড়ির আশেপাশে প্রচুর ভগ্নাবশেষ এখনও বর্তমান।
প্রাচীন রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ

প্রাচীন রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ
মন্দির সকালে ৬টা থেকে ১২:৩০ অব্দি আবার বিকেলে ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০ অবধি সারা বছর খোলা থাকে। সকাল ১০টা অবধি অন্নভোগের কুপন দেওয়া হয়, মুল্য ৩৫ টাকা। হাওড়া থেকে যেকোনো কাটোয়া গামী ট্রেনে বাঁশবেড়িয়া নেমে অটো/ টোটো/ সাইকেল রিকশায় মন্দিরে পৌঁছানো যায়। কাটোয়ার ট্রেন না পেলেও অসুবিধা নেই। ব্যান্ডেল গামী যেকোনো ট্রেনে ব্যান্ডেল এ নেমে অটো বা মিনিবাসে বাঁশবেড়িয়া পৌঁছানো যায়। সড়ক পথে কল্যানী এক্সপ্রেস ধরে কল্যানী পৌঁছে সেখান থেকে গঙ্গার উপর ঈশ্বর গুপ্ত সেতু পেরলেই বাঁহাতে মন্দির যাবার রাস্তা পাওয়া যায়। সড়ক পথে দিল্লী রোড ধরেও বাঁশবেড়িয়া পৌঁছানো যায়। সেক্ষেত্রে দিল্লী রোড ধরে মগরা এসে সেখান থেকে ৬ নম্বর হাইওয়ে ধরে পৌছাতে হবে ঝুলনিয়া মোড় সেখান থেকে কল্যানী এক্সপ্রেস এর দিকে রাস্তা ধরে ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে ওঠার আগে ডানদিকে পরবে মন্দির যাবার রাস্তা।



তথ্য ঋণ ঃ www.hooghlyheritage.wordpress.com
                      www.indianvagabond.com

No comments:

Post a Comment